টু হুইলারের বাজারে দেশের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলোর মধ্যে আসে Honda Motors। বাইক থেকে শুরু করে স্কুটি, Honda এর সমস্ত পণ্যই বাজারে বিক্রি হয় বেশ দ্রুত গতিতে। যদিও ইলেক্ট্রিক স্কুটারের বাজারে এখনো পা রাখেনি তারা। এক্ষেত্রে দেশীয় দুই কোম্পানি Ola এবং Bajaj বহুখানি এগিয়ে। তবে এবার খবর আসছে আগামী অর্থবর্ষে, অর্থাৎ 2024 সালে তারা দুটি নতুন ইলেক্ট্রিক স্কুটার লঞ্চ করতে চলেছে।
ভারতের বাজার Honda-র কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ন সেটা তাদের কর্মকাণ্ড থেকেই বোঝা যায়। তারা ইতিমধ্যে ইলেক্ট্রিক গাড়ি তৈরীর কারখানা স্থাপন করেছে এবং দেশজুড়ে চার্জিং পয়েন্টও বসাতে চলেছে। সাথে উন্নতমানের ইলেক্ট্রিক পণ্য নিয়ে আসার জন্য তারা প্ল্যাটফর্ম ‘E’ নামের একটি মিশনও গ্রহণ করেছে। নয়া এই প্ল্যাটফর্মটি ভিন্ন ভিন্ন ব্যাটারি আর্কিটেকচার এবং ইনস্টলেশন সহ বিভিন্ন মডেলের টেস্ট করবে।
Honda EV মিড রেঞ্জের বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে আসছে বাজারে। রিপোর্ট মারফৎ জানা যাচ্ছে যে, Honda-র গাড়িগুলো বাজারে আরও সাশ্রয়ী মূল্যের এবং একগুচ্ছ অফারের সাথে আসবে। এজন্য তারা নিজেদের বেস্ট প্রোডাক্ট ‘Activa’ স্কুটারের ইলেক্ট্রিক ভার্সন লঞ্চ করতে পারে বলেই খবর। উল্লেখ্য যে , সম্প্রতি Honda তাদের ফিক্সড ব্যাটারি এবং হাব মোটরের জন্য পেটেন্টও দাখিল করেছে , যা আসন্ন ই-স্কুটারে ব্যবহার করা হবে। আরও জানা গেছে, এই স্কুটারের দাম ১ লাখ ১০ হাজারের মতো হবে।
Activa EV ছাড়া ভারতে দ্বিতীয় যে গাড়িটি লঞ্চ করবে Honda সেখানে বদলযোগ্য ব্যাটারি থাকবে। ফলে খুব সহজেই আপনি বহুদূর যাতায়াত করতে পারবেন। এছাড়া চার্জিং অবকাঠামোর কথা বলতে গিয়ে, Honda জানায় যে, তারা সারা দেশে নিজেদের 6,000+ টাচপয়েন্টে ব্যাটারি-সোয়াপিং স্টেশন বসাচ্ছে। এছাড়া EV এর জন্য আলাদা ওয়ার্কশপও স্থাপন করবে তারা।
প্রসঙ্গত, আপাতত বেঙ্গালুরুতে 23টি ব্যাটারি-সোয়াপিং স্টেশন রয়েছে যা তাদের ফেজ 1 এর অধীনে আসে। দক্ষিণের বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ফেজ 2 এর কাজ শেষ করবে তারা। ফেজ 3 হবে দেশজুড়ে এই ব্যাটারি-সোয়াপিং স্টেশন স্থাপন করা। হোন্ডা মোটরসের লক্ষ্য আগামী 2030 সালের মধ্যে 1 মিলিয়ন ইউনিট EV তৈরি করা।